
মেগা প্রকল্পের নামে বিগত সময়ে দেশে লুটপাট হয়েছে, গ্রামীণ কোনো উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শুক্রবার (৯ মে) নৌপথে বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার মৌলোভীরহাট খেয়াঘাট সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, গত ১৫-২০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে সেটা কেবল ঢাকাতে এবং বড় বড় শহরে হয়েছে। তৈলাক্ত মাথায় তখন তেল দিয়েছে। যেখানে রাস্তা আছে সেখানে মেট্রো হয়েছে—নানা রকমের জিনিস হয়েছে। এগুলো প্রধানত অর্থ আত্মসাৎ করতে লোক দেখানো মেগাপ্রকল্প গ্রহণ করেছিল। তবে যে-সব এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সেইসব এলাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি আরও বলেন, বাবুগঞ্জ-মুলাদীর উপজেলা সংযোগে মীরগঞ্জে একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আশা করছি অক্টোবর মাসের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ শুরু করা হবে। ভোলা-বরিশাল সেতুর নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে কাজ প্রক্রিয়া শুরু করতে আরেকটু সময় লগেবে। আপনারা জানেন ভোলা-বরিশাল সেতু বড় প্রকল্প। এটির অর্থায়ন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। অর্থায়ন পেলেই সেতুটির সম্ভাব্যতা যাচাই হবে এবং অন্তর্বর্তী সরকার ওই সেতুরও কাজ শুরু করতে চায়।
এ সময়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, হিমালয়ের বরফ গলিত হয়ে নিম্ন ভূমিতে প্রবাহিত হয়। এজন্য আমাদের দেশের সবগুলো নদীতে প্রতি বছরই পলি আসে। আজকে ড্রেজিং সম্পন্ন হলে এক বছর পর আবারো ড্রেজিং করতে হবে। আমাদের কোনো নদী বন্দর, সমুদ্র বন্দর ড্রেজিং ছাড়া চলতে পারে না। নদী ও পানি প্রবাহ টিকিয়ে রাখতে সরকার ড্রেজিং করছে। দেশের সব নদী পথকে অন্তর্বর্তী সরকার সচল করতে কাজ করছে। কিন্তু অবৈধভাবে কেউ যদি বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনকল্যাণে উন্নয়নের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাধা দিলে মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।