আন্তর্জাতিক

‘স্মার্টফোনে ছাড় নয়’, নতুন হুমকি দিলেন ট্রাম্প

জাতীয় নিরাপত্তা শুল্ক তদন্তের অংশ

তাজা খবর:

চীনে তৈরি স্মার্টফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। আগের ঘোষণায় এই পণ্যগুলোর ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হলেও ট্রাম্প বলেছেন, এই পণ্যগুলো কেবল ‘অন্য শুল্ক শ্রেণিতে’ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে

ইউরোপের পুঁজিবাজারে সোমবার কিছুটা স্থিতিশীলতা দেখা গেলেও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব পণ্য ‘সেমিকন্ডাক্টর ট্যারিফ’-এর আওতায় পড়বে। এর বিস্তারিত ঘোষণা শিগগিরই দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্মার্টফোন, কম্পিউটারসহ কিছু ইলেকট্রনিক পণ্য চীনের ওপর আরোপিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে আপাতত ছাড় পাচ্ছে। কিন্তু রবিবার ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, এই দাবি ‘ভুল’ এবং এই পণ্যগুলোকে কেবল একটি নতুন শুল্কের আওতায় আনা হচ্ছে।

তিনি লিখেছেন, আমরা সেমিকন্ডাক্টর এবং পুরো ইলেকট্রনিকস সাপ্লাই চেইনের ওপর নজর দিচ্ছি আগামী জাতীয় নিরাপত্তা শুল্ক তদন্তের অংশ হিসেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক বলেছেন, আমাদের ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর এবং ইলেকট্রনিকস আমেরিকাতেই তৈরি হওয়া উচিত। এই নতুন সেমিকন্ডাক্টর শুল্ক হবে আগের বিশ্বব্যাপী শুল্কের সম্পূরক, যেটি কিছুদিন আগে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

ট্রাম্প জানান, সোমবার তিনি নতুন শুল্কের বিস্তারিত তুলে ধরবেন।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক শুল্ক ছাড়কে ‘একটি ছোট পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে। বেইজিং বলেছে, তারা এই পদক্ষেপের প্রভাব মূল্যায়ন করছে। তবে চীনের পক্ষ থেকে পাল্টা শুল্ক আরোপও অব্যাহত রয়েছে। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক বা বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করার ব্যাপারে অনড় থাকে, তবে তারা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।

শুল্ক নীতির কারণে বিশ্ববাজারে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সোমবার সনি ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে তাদের প্লেস্টেশন ৫ কনসোলের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই শুল্ক নীতির ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে এবং বিশ্ব বাণিজ্যে ধস নামতে পারে। এতে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতি উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে আরও ভালো বাণিজ্য চুক্তির জন্যই শুল্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। তাদের দাবি, এতে করে বৈশ্বিক বাণিজ্যে যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর হবে এবং উৎপাদন ও যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান ফিরে আসবে।

তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকের কোনও পরিকল্পনা নেই। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।

সূত্র: বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button