সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়কে অটোরিকশার দাপট, প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা
প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে এই মরণব্যাধি অটো রিক্সার

মহাসড়কে তিন চাকার অটোরিকশা চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে চলছে এই মরণব্যাধি অটো রিক্সার দাপট। সাভার ও আশুলিয়ার মহাসড়ক দখল করে রেখেছে এই অটো রিক্সা। দিন দিন বেড়েই চলেছে অটো রিক্সার সংখ্যা ও দুর্ঘটনা। মহাসড়কের যানজট ও দুর্ঘটনার জন্য এই অটো রিক্সাকে দায়ী করছেন পথচারীরা।
সাভারের হেমায়েতপুর, উলাইল, গেন্ডা, বাজার বাস স্ট্যান্ড, নবীনগর, পল্লী বিদ্যুৎ, বাইপাইল, শ্রীপুর, জিরানি সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় মহাসড়ক জুড়ে শুধু অটো রিক্সার বেপরোয়া চলাচল। অটো রিক্সা চালকদের নেই কোন প্রশিক্ষণ নেই কোন অভিজ্ঞতা। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যে যার মত চালিয়ে যাচ্ছে এই অটোরিকশা। মহাসড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনার জন্য এই অটো রিকশাকে দায়ী করে হানিফ পরিবহনের চালক আব্দুর রহিম বলেন, মহাসড়কে বড় বড় যানবাহন চলাচল করে কিন্তু এই অটো রিক্সা হঠাৎ হঠাৎ বড় যানবাহনের সামনে এসে পড়লে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও এই অটো রিক্সার বেপরোয়া চলাচলের ফলে রাস্তায় সৃষ্টি হয় ভয়াবহ যানজট। পোশাক শ্রমিক শাবানা আক্তার বলেন, এই অটো রিক্সার কারণে প্রচন্ড যানজট সৃষ্টি হওয়ার কারণে আমরা সময় মত কাজে যেতে পারি না। আরেক পোশাক শ্রমিক জিল্লুর রহমান বলেন, আমি একদিন কাজ থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে একটি অটো রিক্সা আমার গায়ের উপরে উঠে যায় যার ফলে আমার হাত ভেঙ্গে যায় এবং আমি প্রায় তিন মাস চিকিৎসা দিন ছিলাম।
এছাড়াও সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ অটোরিক্সার শত শত চার্জ দেওয়ার অবৈধ গ্যারেজ আছে। এই গ্যারেজ গুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার ফলে প্রচুর বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে এবং সেই সাথে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বিদ্যুৎ চুরি হচ্ছে।
গেন্ডার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকায় অনেকগুলো অটো রিক্সা চার্জ দেওয়ার গ্যারেজ আছে যা সবগুলোই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে চালিয়ে আসছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে লোডশেডিং এর প্রধান কারণ হচ্ছে এই অবৈধ চার্জ দেওয়ার গ্যারেজ গুলো।
মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশা বন্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সওগাতুল আলম বলেন, আমরা সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশ মহাসড়ক থেকে অবৈধ অটোরিকশা বন্ধের ব্যাপারে সব সময় সতর্ক আছি কিন্তু দিন দিন অটো রিক্সার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।