শিক্ষা ও সংস্কৃতি

নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ শিক্ষা উপদেষ্টার

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বান

তাজা খবর: নতুন প্রজন্মকে বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।

একই সঙ্গে লেখাপড়ার প্রতি শিক্ষার্থীদের আরও মনোযোগী এবং স্কুলমুখী করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার আহ্বানও জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার উত্তরণের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ সহ কিছু বাস্তবায়নও করেছে।’

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, ‘সমাজের বৈষম্য দূর করতে হলে শিক্ষক ও শিক্ষাই হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী বাহন। যার মাধ্যমেই সমাজের বৈষম্য নিরসন করা সম্ভব। তাই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এমন কিছু নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করবে যাতে পরবর্তী যে কোন রাজনৈতিক সরকার খুব সহজেই সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে।’

শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানো কোচিং ও নোট বই নির্ভরতা কমানো সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা লাইব্রেরি কার্যক্রমকে জোরালো করা মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা জরুরি।’

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার জানান, দেশের পরবর্তী প্রজন্ম যাতে যোগ্য নাগরিক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার শিক্ষা নীতিমালাগুলো তৈরি করবে। যাতে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার সব ধরনের সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা দেবে বলেও জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।

‘কেবল নয় ফলাফলমুখী শিক্ষা, বিকশিত হবে মানবতার দীক্ষা’- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে
অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান।
এছাড়া মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ।

মতবিনিময় সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও আমরা একমাত্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে পারিনি। বহুমাত্রিক শিক্ষা চালু থাকলে শিক্ষা নিয়ে আমাদের আকাংখার জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব নয়।’

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিয়া ও জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button