
তাজা খবর: ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে দুই চালানে বেনাপোল বন্দরে এসেছে ৫২৫ মেট্রিক টন চাল। রবিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৬ ট্রাকে ২১০ ও বৃহস্পতিবার ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। দুই চালানে ১৫ ট্রাকে ৫২৫ মেট্রিক টন মোটা চাল বেনাপোল প্রবেশ এসেছে।
বর্তমান দেশে চালের অস্থিতিশীল বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ চার মাস বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি করা চাল ছাড়ের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কোনও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাগজপত্র দাখিল না করায় আজও বন্দরের ৩১ নম্বর শেডে রয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি বাবলুর রহমান জানান, আজ কাস্টমস হাউসে চাল ছাড় করার জন্য কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের মাধ্যমে চালগুলোর ছাড়পত্র নিয়ে খালাস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
বেনাপোল আমদানি রফতানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, গত বৃহস্পতিবার ৯ ট্রাক ও রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় ৬ ট্রাক চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। চালবাহী আরও বেশ কিছু ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অপেক্ষমাণ রয়েছে। এসব চালান দ্রুত ছাড় হলে বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দামের ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে। তবে শুল্ক প্রত্যাহার না করায় আমদানির পরিমাণ সীমিত থাকার শঙ্কাও রয়েছে। দ্রুত কাগজপত্র সাবমিট করে চালগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করা হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলেছে। ইতিমধ্যে নতুন চালান আসতে শুরু করেছে। সোমবার থেকে আরও চাল দেশে প্রবেশ করবে।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ভারত থেকে আমদানি করা চাল ছাড়ের জন্য আমদানিকারক সিঅ্যান্ডএফের মাধ্যমে কাগজপত্র দাখিল করেছেন। আগামীকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।