প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন
কমিটি কেমন করে কাজ করবে আজ আমরা সেটা ঠিক করেছি

তাজা খবর: বিএসসি ডিগ্রিধারী ও ডিপ্লোমাধারীদের পেশাগত দাবিগুলো নিয়ে কাজ করতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে ১ নম্বর নতুন ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সচিবালয়ে সভা শেষে কমিটির সদস্য পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কমিটি কেমন করে কাজ করবে আজ আমরা সেটা ঠিক করেছি। যে সমস্যাগুলো এসেছে সেগুলো আসলে আজকের সমস্যা নয়। এগুলো বহুদিন আগের সমস্যা। এগুলো সমাধান করতে হলে সবার সঙ্গে আমাদের পরামর্শ করতে হবে। সে জন্য আমরা একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ করেছি। সেই গ্রুপে মোট ১৪ জন প্রতিনিধি থাকবেন। যে সংস্থাগুলোতে ইঞ্জিনিয়ার রিক্রুট করা হয়, সেই সংস্থা প্রধানরা এ কমিটিতে থাকবেন। একইসঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের থেকেও চার জন প্রতিনিধি থাকবেন। মোট ১৪ জনের সমন্বয়ে এটা হবে। জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে সেখানে।
তিনি বলেন, এ কমিটি ডিপ্লোমা ও বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্যগুলো আগে শুনবে। পরবর্তী কার্যদিবসে তাদের বক্তব্যগুলো শুনবে। ইঞ্জিনিয়ার সেক্টর সম্পর্কে যারা ভালো ওয়াকিবহাল আছেন, তাদের বক্তব্য এই কমিটি শুনবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, অনেক কাগজপত্র দিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেগুলো দেখে কমিটি আমাদের আবার ব্রিফ করবে। সেই মোতাবেক আমরা এগোবো।
উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বুয়েটসহ বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৭ আগস্ট) তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। আজও দেশের সব প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা যাচাইয়ে বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো– নবম গ্রেডের ইঞ্জিনিয়ারিং পদ বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে এবং প্রার্থীর কমপক্ষে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি দেওয়া যাবে না। এমনকি বিভিন্ন নামে সমমানের পদ সৃষ্টি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
দশম গ্রেডের কারিগরি পদ বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমানের পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা এবং বিএসসি ডিগ্রিধারীদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি না থাকলেও ইঞ্জিনিয়ার পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।