সারা বাংলা

আহত বুয়েট শিক্ষার্থী শাদিদের উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস

প্রতিনিধি দল বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন

তাজা খবর: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দুই বিশেষ সহকারী শেখ মইনুদ্দিন এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুয়েট শিক্ষার্থী শাদিদকে দেখতে যান। এ সময় তারা শিক্ষার্থী শাদিদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তাসহ প্রয়োজনে যে কোনো উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দেন।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি এ তথ্য জানান। বুয়েটের ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ শাদিদ নাসিফ বর্তমানে ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধিরা যখন শাদিদকে দেখতে হাসপাতালে যান তখন কেবিনে শাদিদের বাবা, মা ও বোনসহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শাদিদের মা বেশ আবেগঘন হয়ে পড়েন এবং তার সন্তানসহ শিক্ষার্থীদের ওপরে যে কোনো ধরনের বলপ্রয়োগের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না ঘটে সেই নিশ্চয়তা চান। প্রতিনিধি দল বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জানান যে, এ ঘটনায় বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ পুলিশের ডিএমপি প্রধানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিনিধি দল শাদিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। শাদিদের বাবা রংপুরে একটি কলেজের শিক্ষক এবং বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রংপুর থেকে আসা পরিবারের অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে দুই বিশেষ সহকারী পরিবারের সদস্যদের শিক্ষার্থী শাদিদের সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তাসহ প্রয়োজনে যে কোনো উন্নত চিকিৎসার আশ্বাস দেন।

এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শাদিদের অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এই মুহূর্তে স্থিতিশীল আছেন। তবে পরবর্তী পাঁচ দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, চিকিৎসক দল পঞ্চম দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় রোগীকে আইসিইউতে স্থানান্তর করতে হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রকৌশলীদের চাকরির অসন্তোষ সমাধানে গঠিত কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এম ফাওজুল কবির খানের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। সাপোর্ট স্টাফ, নার্স, চিকিৎসকদলসহ সবাইকেই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তারা।

পরবর্তীতে প্রতিনিধি দল শাদিদের বুয়েট ২০ ব্যাচের কয়েকজন সহপাঠী এবং উপস্থিত প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সংগঠকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এ সময় সবাই মিলে শাদিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি গুরুত্ব পায়। পাশাপাশি শাদিদের সহপাঠীরা স্নাতক প্রকৌশলীদের দাবির একটি যৌক্তিক এবং শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির ব্যাপারে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button