শিক্ষা ও সংস্কৃতি

ইউএপির ১১তম সমাবর্তনে স্নাতকদের ডিগ্রি ও স্বর্ণপদক প্রদান

আজকের স্নাতকরা হচ্ছেন আগামীর বাংলাদেশ গঠনের ভিত্তি

তাজা খবর: ‘কমিটেড টু এক্সিলেন্স’- এই মূলমন্ত্রে আয়োজিত হলো ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ১১তম সমাবর্তন। শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর সেনাপ্রাঙ্গণ মাটিকাটা এমপি চেকপোস্ট এলাকায় এই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন সকাল ৯টায় সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় এবং দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে স্নাতকদের মাঝে ডিগ্রি বিতরণ করেন।

সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম শীর্ষ ব্যক্তিত্ব ও উল্কাসেমি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান।

সমাবর্তনের বিশেষ সংযোজন ছিল মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদের ভিডিও বার্তা। এর মাধ্যমে তিনি নবীন স্নাতকদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন।

তিনি তার ভিডিও বার্তায় ইউএপির প্রকৌশল, আইন, ফার্মেসি ও মানবিক শাখার অগ্রগতির পাশাপাশি মালয়েশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ইউএপির অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘আজকের স্নাতকরা হচ্ছেন আগামীর বাংলাদেশ গঠনের ভিত্তি। তাদের অর্জিত শিক্ষা জাতীয় উন্নয়নের গতিকে বেগবান করবে- এই প্রত্যাশা রাখি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন স্থপতি মাহবুবা হক নবীন স্নাতকদের উদ্দেশে বলেন, ‘জীবনের প্রতিকূল সময়েও যদি মনের জোর অটুট থাকে, তবে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। স্বপ্নকে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, ‘শিক্ষার সঙ্গে শিল্পখাতের কার্যকর সংযোগ গড়ে তুলতে ইউএপি ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই ডিগ্রিগুলো শুধু সনদ নয়, বরং শিক্ষার্থীদের শ্রম, নিষ্ঠা ও মেধার স্বীকৃতি।’

সমাবর্তনে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান ইউএপির শিক্ষাপ্রক্রিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি চারিত্রিক দৃঢ়তা ও নেতৃত্বগুণে গড়ে তুলছে।’

এবারের সমাবর্তনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ১ হাজার ৯৭৫ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রির সনদ দেওয়া হয়। যার মধ্যে স্নাতক ১ হাজার ২৭৩ জন এবং স্নাতকোত্তর ৭০২ জন।

সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া। মার্শালের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ড. এ কে এম নজরুল ইসলাম।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির দশম সমাবর্তনে তিনজনকে আচার্য গোল্ড মেডেল এবং ১৫ জন শিক্ষার্থীকে উপাচার্য গোল্ড মেডেল দেওয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button