ইন্টারনেট গ্রাহকদের ভয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিই না: ফয়েজ আহমদ
সিম ট্যাক্স নয়; বরং নিম্নমানের সেবার কারণে মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট বিমুখ হচ্ছে

তাজা খবর: মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি এবং দাম নিয়ে অপারেটরদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
শনিবার (১২ জুলাই) টিআরএনবি আয়োজিত কর্মশালায় বক্তৃতা করেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ বলেন, টেলিকম খাত ঢেলে সাজাতে স্বৈরাচারী আমলের সব আইন বাদ দিয়ে নতুন করে আইন প্রণয়ন করা হবে।
সেমিনারে নতুন টেলিকম নীতিতে মোবাইল সেবা প্রতিষ্ঠানে বিদেশি মালিকানা সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ রাখা, টাওয়ারে ফাইবার সংযোগের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়াসহ নানা বিষয়ে অপারেটররা আপত্তির ফিরিস্তি তুলতে গেলে আটকে দেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
লোভনীয় অফার দেয়া সত্ত্বেও গেল জুন থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১ কোটি ২৬ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক হারিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। সম্প্রতি সময় সংবাদে প্রচারিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, সিম ট্যাক্স নয়; বরং নিম্নমানের সেবার কারণে মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট বিমুখ হচ্ছে।
গ্রাহক অসন্তোষের আঁচ নিজেই টের পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিতে পারি না। সমানে অ্যাটাক আসে–কেনা ইন্টারনেটের দাম কমাতে পারছি না। কেন ইন্টারেনেটের দাম বাড়ছে।’
সেমিনারে সেবার মান খারাপের পেছনে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন মোবাইল অপারেটরগুলোর প্রতিনিধিরা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের ৭০০ টাওয়ার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটার দায়দায়িত্ব কেউ নিতে পারছে না। নতুন টাওয়ার করা যাচ্ছে না। আমাদের ফাইভার আছে, আমরা মেনটেইন করতে পারব না। একটা ফরেন ইনভেস্টরকে তার বোর্ডে আলাপ করতে হবে–যেখানে মাস্তানি হচ্ছে, সেখানে আটকে দেয়া হবে। একটা অদ্ভুত সিচুয়েশন।’
এ সময় ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট গ্রাহকের কথা বলা হলেও বাস্তবে এ সংখ্যা ৭-৮ কোটি বলে জানান বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ এমদাদ উল বারী।