এই সরকার নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও চাপ দেয়নি: সিইসি
অস্ত্রবাজি করে এবারের ভোটে জয়ী হওয়ার কোনও সুযোগ নেই

তাজা খবর: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এই সরকার নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও চাপ দেয়নি। আমার বলতে কোনও দ্বিধা নেই। যেদিন সরকার চাইবে হুকুমমতো কাজ করাতে আমাকে সেদিন এই চেয়ারে দেখবেন না। সেই গ্যারান্টি আমি দিতে পারি।’
শনিবার সকাল ১০টায় রাজশাহীর আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন ভবনে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘যারা ভোটকেন্দ্র দখল কিংবা বাক্স (ব্যালট) ছিনতাইয়ের জন্য নিয়ত করে বসে আছেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে। কেন্দ্র দখল বা অস্ত্রবাজি করে এবারের ভোটে জয়ী হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এই নির্বাচনের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। আমরা গণতন্ত্রের পথে হাঁটবো কিনা, দেশ কোন দিকে যাবে, তা এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে। তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। দেশ ও জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, ইতিহাস আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা একটি ঐতিহাসিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে এবং তা বাস্তবায়নে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করবে।’
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ছুটির দিনেও কমিশনের কর্মকর্তারা কাজ করছেন এবং সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি চলছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে, সেখানে প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটারকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় ৪৪ লাখ নতুন ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব। পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে দ্রুতই তা চূড়ান্ত করা হবে। নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টিও সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশা করা যাচ্ছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে নই, কোনও প্রার্থীর পক্ষেও নই। আমরা দেশের ১৮ কোটি জনগণ ও পৌনে ১৩ কোটি ভোটারের পক্ষে। আমরা আইন, সংবিধান ও বিধি দ্বারা পরিচালিত হবো। অতীতে যারা ভোট জালিয়াতির সঙ্গে স্বপ্রণোদিত হয়ে জড়িত ছিলেন, তাদের আসন্ন নির্বাচনে কোনও প্রকার দায়িত্ব দেওয়া হবে না।’