গোয়ালন্দে পুলিশের ওপর হামলা: গ্রেপ্তার ৬ জনকে পাঠানো হলো কারাগারে
নুরাল পাগলের মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নিহতের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি

তাজা খবর: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জনের মধ্যে ৬ জনকে আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোয়ালন্দ আমলী আদালতের বিচারক তানজিম আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের হলে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জনের মধ্যে ৬ জনকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজী অপু নামের একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালত ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। গ্রেপ্তার অপর আসামি জীবন সরদারকে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমদাদুল হক বিশ্বাস বলেন, আসামিদের আদালতে তোলার পর জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক সবার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কাউকে হয়রানি না করতে প্রশাসনকে অনুরোধ জানান তিনি।
জেলহাজতে পাঠানো আসামিরা হলেন, রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দেওয়ান পাড়ার শাফিন সরদার (১৯), এনামুল হক জনি (৩২), ১ নং দিরাস্তুল্লাহ মৃধা পাড়ার উজানচর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. মাসুদ মৃধা (২৯), গোয়ালন্দ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হিরু মৃধা (৪০), কাজীপাড়ার কাজী অপু (২৫) ও দেওয়ান পাড়ার হায়াত আলী মৃধা (২৯)।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপপ) মো. শরীফ আল রাজীব বলেন, ফুটেজ পর্যালোচনা করে শনিবার দিবাগত রাতে ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গোয়ালন্দ থানার বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় ৫ জন এবং রোববার দুপুর ও বিকেলে আরও দুই জনসহ মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে, এখন পর্যন্ত নুরাল পাগলের মাজার ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নিহতের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই মো. সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের অভিযোগ এনে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।