সারা বাংলা

নজরুলের জন্মবার্ষিকী আবেগ, দায়বদ্ধতা ও প্রেরণার নাম: তথ্য সচিব

বাঙালির আবেগ, অনুভূতিতে জড়িয়ে আছেন তিনি

তাজা খবর: ত্রিশালবাসীর কাছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপন কেবলই একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি আবেগ, দায়বদ্ধতা ও প্রেরণার নাম বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা।

তিনি বলেন, জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী যেন অন্য কোথাও নয়, বরং জাতীয়ভাবে ত্রিশালেই উদযাপন করা হয়, সে ব্যাপারে নিজ জায়গা থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নজরুলকে কেবল স্মরণ নয়, তার চেতনা, মানবিকতাকে হৃদয়ে, মননে ধারণ করার প্রত্যয় যেন সৃষ্টি হয় সবার মধ্যে।

রোববার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্য সচিব বলেন, নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, গায়ক, অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার। নানা গুণে গুণান্বিত জাতীয় কবি ছিলেন এক ধ্রুবতারা। তিনি ছিলেন প্রেমের, দ্রোহের, মানবতার কবি। বাঙালির আবেগ, অনুভূতিতে জড়িয়ে আছেন তিনি। সাম্রাজ্যবাদ, বৈষম্যের প্রতি কবি হয়েছেন বিদ্রোহী। সাম্যের পক্ষে ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ আন্দোলনে যেমন কবি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, তেমনি তার গান, সৃষ্টির চেতনা ১৯৫২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত গড়িয়েছে। ২৪ এর আন্দোলনে নজরুলের গান, কবিতা উদ্দীপিত করেছেন ছাত্র-জনতাকে। তরুণ প্রজন্মের কাছে নজরুলের প্রাসঙ্গিকতা ব্যাপক।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ। এতে বক্তব্য দেন- ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি মো. আতাউল কিবরিয়া, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য-২ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন। স্মারক বক্তব্য দেন- নজরুল গবেষক ড. ইঞ্জিনিয়ার খালেকুজ্জামান, কবি ও নজরুল গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button