বিনোদন ও খেলাধুলা

জিমন্যাস্টদের কষ্ট নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা খেলা

তাজা খবর: বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে জিমন্যাস্টিক্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ডিসিপ্লিন হিসেবে বিবেচ্য। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জিমন্যাস্টিক্সের প্রচার-প্রসার সেই অর্থে নেই। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জিমন্যাাস্টিক্সের প্রধান ভেন্যু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন ভবনের জিমনিশিয়াম। এটা এত পুরনো হওয়ায় এখানে আলো স্বল্পতার পাশাপাশি তীব্র গরম। এর মধ্যেই কষ্ট করে জিমন্যাস্টিক্স হয়। আজ আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে এসে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া জিমন্যাস্টদের কষ্ট অনুধাবন করেছেন।

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরাতন এই ভবন ভেঙে নতুন মাল্টিপারপাস সেন্টার করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। যেখানে জিমনাস্টিকসসহ অন্যান্য ইনডোর গেমসগুলো আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ স্থানান্তর করা হবে।’

দেশের বিভিন্ন জেলার ৬৫টি স্কুল ও মাদ্রাসা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্ত: স্কুল জিমনাস্টিকস প্রতিযোগিতা। অনেক স্কুলে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি পেশাদার ব্যক্তিদের সন্তানরা পড়াশোনা করেন। এমন কয়েকজন ক্ষুদে বিদেশি জিমন্যাস্টও স্কুলের হয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। ২৬টি ইভেন্টে অংশ নেন ২১২ জন প্রতিযোগী। তারুণ্যের উৎসব আয়োজনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো এই আয়োজন করে বাংলাদেশ জিমনাস্টিকস ফেডারেশন। বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুর ওপেনে পদক বিজয়ী জিমন্যাস্টদের মধ্যে ২ লাখ টাকার আর্থিক পুরস্কারের চেক প্রদান করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব উল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানসহ ফেডারেশনের কর্মকর্তাগণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button