সারা বাংলা

এনসিপির কর্মসূচি বাংলাদেশের ভবিষ্যত পুনর্গঠনে নতুন রাজনীতির সূচনা

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে একটি নতুন রাজনীতির সূচনা

তাজা খবর: টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যাত্রা কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে একটি নতুন রাজনীতির সূচনা। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (৪ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে প্রেস সচিব লেখেন, আমি যদি এখন একজন সাংবাদিক হিসেবে , বিশেষ করে কোনো ফ্রিল্যান্স সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতাম তাহলে আমি এনসিপি নেতাদের সঙ্গে তাদের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ভ্রমণে যোগ দিতাম। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পুনর্গঠনে একটি নতুন রাজনীতির সূচনা।

ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে প্রেস সচিব আরও লেখেন, মাত্র এক বছর আগেই তরুণ কর্মীরা এমন একটি বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যা একজন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিল। এখন, এই একই ব্যক্তিরা তৃণমূলের সমর্থন জোগাড় করতে এবং একটি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশজুড়ে ভ্রমণ করছেন। কয়েক মাস আগেও এই তরুণ নেতাদের নিষ্প্রভ মনে হচ্ছিল। কয়েকজনের নামের সঙ্গে বিতর্কও জড়িয়েছে। কিন্তু এই ভ্রমণ তাদের নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। এখন তাদের লক্ষ্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং প্রত্যাশা আকাশছোঁয়া।

প্রেস সচিব লেখেন, শহর ও গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে এনসিপির বহর যতই এগোচ্ছে ততই স্পষ্ট হচ্ছে যে এই অভিযানের নেতৃত্বে আছেন তরুণরা। ছেলে-মেয়ে উভয়ই, হাজারে হাজারে তারা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই যায় যে- তারা কি দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি কিংবা জামায়াতে ইসলামীর মতো দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো পর্যাপ্ত সমর্থন জোগাড় করতে পারবে? প্রবীণরা কী ভাবছেন? তারা কি বিচ্ছিন্ন নাকি এরমধ্যেই তারা কোনো দলকে বেছে নিয়েছে?

এনসিপির এই ভ্রমণকে রাজনৈতিক প্রচারণার চেয়েও বেশি কিছু উল্লেখ করে শফিকুল আলম লেখেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাশার জন্য এটি একটি পরীক্ষা। এই তরুণ নেতারা যখন জাতির পথচলা পুনর্নির্ধারণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তখন পুরো বিশ্বের নজর রয়েছে তাদের ওপর। যদি তারা ব্যাপক আকারে জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন তাহলে, সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন, হয়তো বিদেশি সাংবাদিকেরাও তাদের দিকে নজর ফেরাবেন এবং তাদের সঙ্গে থাকবেন।

প্রেস সচিব ওই পোস্টে লেখেন, মাঠপর্যায়ে থাকা স্থানীয় সাংবাদিকদের জন্য এনসিপির এই যাত্রা সবার সামনে তুলে ধরার এক সুবর্ণ সুযোগ। এই যাত্রায় এনসিপির আশা, মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ এবং তাদের রূপান্তরের গল্প লিপিবদ্ধ করা কেবল সাধারণ রিপোর্টিংই না, এটি ইতিহাসের অমূল্য ধারাবিবরণী। ফেসবুক বা এক্স এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে এটি নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি বা নিজস্ব মতামত প্রদান তাদের এই যাত্রাকে অমূল্য অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে আরও বেগবান করবে।

সবশেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি লেখেন, আপনাদের লেখনী বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক শুরুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হতে পারে। যুক্ত হন, রিপোর্টে তুলে ধরুন এবং এই রূপান্তরের অংশ হন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button