সারা বাংলা

নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করলে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার মতো পরিণতি হবে

আমাদের আসল শক্তি হচ্ছে জনগণ

তাজা খবর: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, যারা এইবার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন তারা একটু নুরুল হুদার কথা চিন্তা করবেন। সেই সব ডিসিদের কথা চিন্তা করেবন যারা ২০১৮ সালে রাতে ইলেকশন করে মনে করতেন যে আমরা তো পার পেয়ে গেছি। অতিরিক্ত সচিব হয়ে গেছেন নানা রকম সুবিধা পেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। কারণ হচ্ছে আপনারা সবাই খুব শক্তিহীন মানুষ। আমাদের আসল শক্তি হচ্ছে জনগণ। নির্বাচনে কে জিতবে না জিতবে এটা যাচাই করা সরকারি কর্মকর্তার কাজ না

শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে জামালপুর জেলার সরকারি কর্মকর্তা ও অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, সামনের যে নির্বাচন এইটি আমাদের সবার জন্য অগ্নিপরীক্ষা। এই অগ্নি পরীক্ষায় আমাদের সবাইকে উত্তীর্ণ হতে হবে। আপনারা সাবেক সিইসি নুরুল হুদার বক্তব্য শুনেছেন। নির্বাচন কীভাবে হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা গুলো কি কাজ করেছে, ডিসিরা কি কাজ করেছেন। সিইসির পদমর্যাদা অনেক বড়, সিইসি আসলে গাড়িতে পতাকা উড়তো। সেই সিইসির এই পরিণতি হলো কেন? আমাদের সংকটের প্রধান সমস্যা হচ্ছে আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারি না। আমরা যাদের নির্বাচিত করেছি তারা আমাদের স্বার্থ দেখে না।

পতিত সরকারের সময় জামালপুরের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, জামালপুরে বলা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সচিব হিসেবে ২০০৮ সালে এসেছিলাম। এই জেলায় কোনো পরিবর্তন হয় নাই। ২০০৮ সালের চেয়ে দুই একটি বিল্ডিং ছাড়া কোনো পরিবর্তন হয় নাই। অথচ ওই পরিমাণ টাকা খরচ করলে অসম্ভব পরিবর্তন করা যেত।

পালিয়ে যাওয়া জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে এই উপদেষ্টা বলেন, প্রথম সমস্যা হচ্ছে মানুষ ভোট দিতে পারে নাই, দুই হচ্ছে যারা নির্বাচিত হয়েছে তারা নিজেদের স্বার্থ দেখেছেন, অন্যদিকে যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের স্বার্থ দেখেন নাই। এখন তারা নাই, পালিয়ে গেছেন। এমন প্রতিনিধি কেন নির্বাচিত কেন করবেন? যাকে পালিয়ে যেতে হয়। যে জনপ্রতিনিধি তার ভিত্তি হচ্ছে মানুষ। এমন কাজ কেন করবেন যে আপনি এলাকায় থাকতে পারবেন না।

সরকারি কর্মচারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, যারা সরকারি কর্মচারী ছিলেন ডেপুটি কমিশনার, যারা বিখ্যাত লাইলাতুল ইলেকশন অর্থাৎ রাতের ভোটে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের প্রত্যেককে অপসারণ করা হয়েছে। যারা ওই ভোটের সময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে ছিলেন, এসপি ছিলেন তাদের সবাইকে অপসারণ করা হয়েছে।

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, গ্যাস ও কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে খরচ বেশি হচ্ছে তাই সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দিয়ে কাজ করছে।

জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক হাসিনা বেগমের সভাপতিত্বে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আজিজুল হক, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম এ জলিলসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও সুধী মহলের ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button