সারা বাংলা

পাহাড়ি মেলার মাধ্যমে আমরা ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছি : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

এটি পাহাড়ি জীবনের সঙ্গে নগরবাসীর একটি আত্মিক সংযোগ

তাজা খবর: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পাহাড়ি ফল মেলা শুধু একটি বাণিজ্যিক আয়োজন নয়, বরং এটি পাহাড়ি জীবনের সঙ্গে নগরবাসীর একটি আত্মিক সংযোগ। পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ প্রাকৃতিক খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত এবং অর্গানিক ফল আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। এই মেলার মাধ্যমে আমরা সেই ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছি।

শনিবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত পাহাড়ি ফল মেলা’র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের টেকসই উন্নয়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার যে দৃষ্টিভঙ্গি, তারই প্রতিফলন ঘটেছে পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি অর্গানিক ফল মেলায়।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গ্রামীণ অর্থনীতি ও নারীর ক্ষমতায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। পাহাড়ি নারীরা অর্গানিক ফল চাষে যে নিষ্ঠা ও শ্রম দিয়ে ভূমিকা রাখছেন, তা সত্যিই অনুকরণীয়।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও উৎসাহিত করতে মন্ত্রণালয় তাদের পাশে আছে এবং প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও বাজার সংযোগে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিয়েছেন যে, চলতি বছরের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত ১০০টি স্কুলে স্টারলিংক সংযোগের মাধ্যমে ই-লার্নিং চালু করা হবে। এর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বিপ্লবী পরিবর্তন আসবে। এটি শুধু শিক্ষার মান উন্নয়ন নয়, বরং সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রযুক্তিগত অন্তর্ভুক্তি ও টেকসই উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।

এই পাহাড়ি ফল মেলা শুধু ভোক্তা ও কৃষকের সংযোগ নয়, বরং একটি সমন্বিত শিক্ষা, পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মঞ্চ। আমরা চাই, রাজধানীবাসী পাহাড়ি সংস্কৃতিকে শুধু দেখবে না, অনুভব করবে। এই আয়োজন একটি টেকসই ভবিষ্যতের পথে আমাদের অগ্রযাত্রার প্রতীক— বলেন উপদেষ্টা।

আয়োজক পক্ষ জানায়, এই আয়োজন স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত ফলের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মেলার প্রতিটি স্টল যেন ছিল একটি গল্পের জানালা- যেখানে ফলের স্বাদ ছাপিয়ে উঠে এসেছে পাহাড়ি জীবনের রঙ, ঘ্রাণ ও আত্মার ছোঁয়া।

সন্ধ্যায় আয়োজিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button