অর্থনীতি

ট্যানারি খাতে আন্তর্জাতিক শ্রমমান নিশ্চিত করতে হবে: শ্রম সচিব

খাতের কাঁচামাল দেশেই উৎপাদিত হয়

তাজা খবর: ট্যানারি খাতের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে শক্তিশালী অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেছেন, বিশ্ববাজারে শীর্ষ অবস্থান তৈরি করতে হলে ট্যানারি খাতে আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুসারে শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। আইএলও এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শ্রমমান অনুযায়ী কর্মপরিবেশ গড়ে তুলে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে এবং শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সেফটি নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সাভারের হেমায়েতপুরে ট্যানারি শিল্প এলাকায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ‘গুড ওয়ার্কিং কন্ডিশন ইন ট্যানার্স’ প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত ‘সেপিং দ্য ফিউচার অব ট্যানার্স’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শ্রম সচিব বলেন, বাংলাদেশের ট্যানারি ও লেদার গুডস শিল্পের অন্যতম প্রধান সুবিধা হলো—এ খাতের কাঁচামাল দেশেই উৎপাদিত হয়। আধুনিক প্রযুক্তি ও উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বছরে উৎপাদিত কয়েক লাখ চামড়ায় ভ্যালু অ্যাড করে এ খাতকে দেশের অর্থনীতিতে পোশাক খাতের মতোই একটি প্রধান রপ্তানিমুখী খাতে রূপান্তর করা সম্ভব

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ওমর মো. ইমরুল মহসিন বলেন, ট্যানারি শিল্পের টেকসই উন্নয়নের জন্য মালিক, শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এ খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও ন্যায়সংগত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার আইনগতভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জার্মান দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন উলরিখ ক্লেপমান বলেন, গত পাঁচ দশক ধরে জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় পাশে রয়েছে। আগামীতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের রয়েছে নিজস্ব সম্পদ ও বিপুল সম্ভাবনা— যা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশটি অর্থনৈতিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হতে পারে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক মো. মতিউর রহমান।

কর্মশালায় ট্যানারি খাতের শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button