অপরাধ ও দুর্নীতি

আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক খুন, ছিনতাইকারী গ্রেফতার

হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে

রাউফুর রহমান পরাগ: শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খোকন মিয়া (২৮) নামের এক পোশাক শ্রমিক খুন হন। এঘটনায় ওই ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই সাথে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

দুপুরে আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস) আরাফাতুল ইসলাম। এর আগে, ১০ জুন রাতে আশুলিয়ার বগাবাড়ি এলাকায় ছিনতাইকারীর হাতে খুন হন খোকন।

নিহত খোকন রংপুরের মিঠাপুকুর থানাধীন বালুয়া ভাটপাড়া এলাকার আকমল হোসেনের ছেলে। সে আশুলিয়ার জিরাবো মাদবর বাড়ি শামসুলের বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করতেন।

গ্রেফতার ছিনতাইকারী মাসুদ ওরফে জামাই মাসু ওরফে রানা (৩৭) নেত্রকোনার পূর্বধলা থানাধীন জামধলা গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে। সে আশুলিয়ার বাইপাইল সহ বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতো।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ১০ জুন ভোর তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি রংপুর থেকে বাইপাইলে নামেন খোকন ও তার স্ত্রী জাহিদা খাতুন। পায়ে হেটে বাইপাইল বগাবাড়ি এলাকার সুজুকি জাপান বাইক সিটির সামনে পৌছলে তাদের গতিরোধ করে পেশাদার ছিনতাইকারী মাসুদ ওরফে জামাই মাসুদ ওরফে রানা। পরে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ছিনতাই করলে তাকে ঝাপটে ধরে খোকন। এসময় ওই ছিনতাইকারীর হাতে থাকা ছুরি দিয়ে খোকনকে আঘাত করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ খোকনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ঘটনার পরের দিন নিহতের স্ত্রী জাহিদা খাতুন ওরফে বন্যা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ৩৪) দায়ের করেন। পরে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার বাইপাইল এসএ পরিবহনের গলি থেকে ছিনতাইকারী মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে এসএ পরিবহনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কভারভ্যানের নিচ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনাটি সে ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির, আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন প্রমুখ সহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button