পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগ: শিশু হাসপাতালে দুদকের অভিযান
নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশই অবৈতনিক চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী

তাজা খবর: নিয়োগ পরীক্ষা ছাড়াই চিকিৎসক নিয়োগের গুরুতর অভিযোগে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
আজ (মঙ্গলবার) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো আক্তারুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের শুরুতে কোনো লিখিত বা মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই এডহক ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে আজ রাজধানীর শিশুরোগ চিকিৎসার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠানটিতে সরেজমিনে অভিযান চালায় দুদক টিম।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে তাদের বোর্ড সভার ২২তম সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে ১ জুন একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যেখানে ৬ মাসের জন্য ৬৫ জন আবাসিক মেডিকেল অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়। আবেদন যাচাইয়ের জন্য চার সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়, যারা কেবল কাগজপত্র যাচাই করে নিয়োগপত্র প্রদান করে। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশই অবৈতনিক চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী ছিলেন।
অভিযানকালে আরও জানা যায়, আইন অনুযায়ী একটি পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ প্রবিধান এখনো পর্যন্ত প্রণয়ন না করেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে। এভাবে নিয়োগের বিষয়টি নিয়োগ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা যাচাই এবং দুর্নীতির আশঙ্কাকে সামনে নিয়ে আসে বলে মন্তব্য করেছে তদন্তকারী টিম। দুদক সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ড সংগ্রহ করেছে এবং তথ্য বিশ্লেষণ শেষে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
আজ আরও দুটি পৃথক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে দুদক। যার মধ্যে ঘুষ ও দালাল চক্রের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ছাড়াই ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের অভিযোগে গাজীপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নকল ও অসম্পূর্ণ খাতায় উত্তীর্ণ দেখানোর প্রমাণসহ ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে।
একই দিনে মাদারীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে এতিম শিক্ষার্থীদের ক্যাপিটেশন গ্রান্টের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি অভিযান চালায় দুদক। মাদারীপুর থেকে পরিচালিত অভিযানে দুদক দেখতে পায়, এতিমখানায় ৩০০ জনের স্থলে অতিরিক্ত সংখ্যা দেখিয়ে প্রায় ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমাজসেবা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায় দুদক। আর্থিক অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলেও জানা যায়।