সারা বাংলা

পার্বত্য চট্টগ্রামে ১০০ স্কুলে ছয় মাসের মধ্যে ই-লার্নিং চালু হবে

ই-লার্নিং চালু হলে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে

তাজা খবর: আগামী ছয় মাসের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১০০টি স্কুলে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ই-লার্নিং চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগ শিক্ষায় প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটাবে।’

উপদেষ্টা রবিবার (২৭ জুলাই) বাংলা অ্যাকাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘জাতিবৈচিত্র্য দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সোমবার (২৮ জুলাই) সরকারি তথ্য বিবরণীতে এই তথ্য জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, ই-লার্নিং চালু হলে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবে এবং শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা পাঠদান করতে পারবেন। এতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠবে, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মজীবনে সহায়ক হবে।

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিবৈচিত্র্য গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, গণিত, আইসিটি ও ইংরেজিতে দুর্বল। তাই এসব বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকদের দ্বারা শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে।

ভাষাগত বৈচিত্র্য ও পাঠ্যবইয়ের সীমাবদ্ধতার কারণে মাতৃভাষা ভিত্তিক শিক্ষা সীমিত পরিসরে থাকলেও এক্ষেত্রে অধিকতর নজর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা মেইনস্ট্রিমের সঙ্গে মিশে গিয়ে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে শরিক হতে চাই। জাতিবৈচিত্র্য আমাদের সংস্কৃতির উৎস ও শক্তি। বিভিন্ন ভাষা, জাতি ও সম্প্রদায়ের সংহতিতে গড়ে উঠেছে দেশের বর্ণিল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।

বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূলবক্তা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং। আলোচনায় অংশ নেন মানবাধিকার ও সংস্কৃতি কর্মী অলিক মৃ, ঢাকা মহানগরের রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি ক্য চিন ঠে ডলি রাখাইন এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চ নু মং। সেমিনারে গবেষক, লেখক ও সাংস্কৃতিক কর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানু্ষ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বাংলা অ্যাকাডেমি প্রাঙ্গণে ছোট ছোট তাঁবুতে ঘেরা আলাদা আলাদা স্টলে নিজস্ব জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button