বিনোদন ও খেলাধুলা

‘সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ক্রাইম জোনের আলামত নষ্ট করেছে…’

সাংবাদিক দম্পতির মৃত্যুরহস্য নিয়ে ‘অমীমাংসিত’

তাজা খবর: ১৪ মাস আগে ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটি প্রদর্শনযোগ্য নয় বলে জানিয়েছিল তৎকালীন সেন্সর বোর্ড। এরপর আপিল করা হয়। কিন্তু তারপরও মুক্তির অনুমতি পায়নি সিনেমাটি। চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠন হওয়ার পর ‘অমীমাংসিত’ মুক্তির জন্য আপিল করা হয়। সম্প্রতি সিনেমাটিকে প্রদর্শনের অনুমতি দিয়েছেন বোর্ডের সদস্যরা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিচালক সূত্রে এমনটাই জানা গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, খুব শিগগির মুক্তির তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।

বলা হচ্ছে, এক সাংবাদিক দম্পতির মৃত্যুরহস্য নিয়ে ‘অমীমাংসিত’ বানিয়েছেন রায়হান রাফী। ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা মুক্তির পরপরই এই সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন পরিচালক রাফী। জানা গেছে, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তির কথা ছিল সিনেমাটির। তবে তৎকালীন সেন্সর বোর্ডের আপত্তির মুখে মুক্তি আটকে যায়। মুক্তির অনুমতি পাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে ‘অমীমাংসিত’

গত বছর যখন ‘অমীমাংসিত’ মুক্তির পরিকল্পনা করা হয়, তখন ৪০ সেকেন্ডের টিজার প্রকাশ করা হয়। টিজারে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখিত সংলাপ আকারে তুলে ধরা হয়। সেগুলো এ রকম—‘খুনগুলো হয়েছে আনুমানিক রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে। ধারণা করছি, এটা কোনো চুরি-ডাকাতির কেস…’, ‘সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন সবাই ক্রাইম জোনের আলামত নষ্ট করেছে। আমার করার কী ছিল?’, ‘ওদের কেউ মারেনি। ওরা নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে’, ‘এটা নিশ্চিত পরকীয়া কেস! নইলে সেদিন…।’ এমন সব সংলাপ। টিজারের পর সিনেমাটির পোস্টারও প্রকাশ করেন নির্মাতা রায়হান রাফী। সেখান থেকে জানা যায়, এই সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন।

‘অমীমাংসিত’ প্রদর্শনযোগ্য নয়, বছরখানেক আগে এমন সিদ্ধান্তের পেছনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় শুরুর দিকে যেসব কারণ দেখিয়েছিল তা হচ্ছে, চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে, কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সঙ্গে মিল রয়েছে, এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা-সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন ও চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এ ছাড়া তৎকালীন সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা আরও মতামত দেন, ‘দ্য কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫ এর ১-এর I, V, VII দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ চলচ্চিত্রটিতে বিদ্যমান থাকায় এটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়। তাই বাংলাদেশ সেন্সরশিপ আইনের বিধি ১৬(৫) মোতাবেক উক্ত চলচ্চিত্রের সেন্সর আবেদনপত্র নির্দেশক্রমে অগ্রাহ্য করা হলো।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button