
তাজা খবর: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে নবনির্মিত মডেল মসজিদের শান্ত ও পবিত্র পরিবেশের পাশেই পড়ে ছিল এক বৃদ্ধার নিথর দেহ। তাঁর পরিচয় জানা নেই, কিন্তু তাঁর বিদায়ের ধরন ছিল অত্যন্ত মর্মান্তিক। গলায় শক্ত করে পেঁচানো ছিল একটি রশি, যা এক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের নীরব সাক্ষী হয়ে আছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সকালে পথচারীরা প্রথম এই হৃদয়বিদারক দৃশ্যটি দেখতে পান। মুহূর্তেই খবর ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সাভার মডেল থানার পুলিশ। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অন্য কোথাও শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর অপরাধীরা রাতের আঁধারে লাশটি এখানে ফেলে রেখে গেছে। কে এই বৃদ্ধা? কী তাঁর নাম? শহরের কোলাহলে হারিয়ে যাওয়ার আগে কোন পরিবারের মায়াভরা আশ্রয়ে ছিলেন তিনি? এই প্রশ্নগুলোই এখন বাতাসে ভাসছে।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া জানান, “আমরা নিহতের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আশেপাশের থানাগুলোতে বার্তা পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ উদঘাটন এবং জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একটি বিশেষ দল ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
একটি পরিচয়হীন লাশ হিসেবে মর্গে গেলেও এই বৃদ্ধা হয়তো কারও মা, কারও স্বজন ছিলেন। তাঁর জন্য হয়তো কোথাও কোনো পরিবার অপেক্ষা করছে। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনের সাথে সাথে তাঁর পরিচয় ফিরে পাওয়াটাই এখন পুলিশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। পরিচয় শনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই মৃত্যুটি কেবল একটি মর্মান্তিক ঘটনাই থেকে যাবে, এর পেছনের কান্না আর হাহাকারের গল্পটি হয়তো অজানাই থাকবে।