স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যাতে না ফেরে সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে: বদিউল আলম
মুক্তি পেতে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

তাজা খবর: জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যেন আর ফিরে না আসে সেজন্য সরকার ১১টি সংস্কার কমিটি গঠন করেছে। এর মধ্যে ৬টি কমিটির প্রধানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউনুস।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশের হাট ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে আয়োজিত ‘জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক)।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিতাড়িত হলেও তার রেখে যাওয়া স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা এখনও বহাল রয়েছে। এই ব্যবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা, সংবিধান, শাসনব্যবস্থা এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় মৌলিক সংস্কার আনতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নাগরিক সংলাপে এসব সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে একটি ‘খসড়া জাতীয় ঐকমত্য সনদ’ উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে জনগণ মতামত দিয়ে একটি জনমত গড়ে তুলতে পারে। এই সনদের ভিত্তিতে সরকারকে বার্তা দেওয়া হবে- জনগণের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করতেই হবে।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক) দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. বেলাল উদ্দিন শিকদার রুবেল।
অনুষ্ঠানে রংপুর বিভাগ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার শতাধিক সাংবাদিক, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক প্রতিনিধি এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।