সাংবাদিকদের নেতিবাচক ভূমিকা পর্যালোচনায় জাতিসংঘকে চিঠি দেবে সরকার
আজকে বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিক সুশীল সাজেন

গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের নেতিবাচক ভূমিকা পর্যালোচনা করতে জাতিসংঘকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আমরা জাতিসংঘকে চিঠি দেব। যাতে তাদের একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসে বাংলাদেশের নেতিবাচক সাংবাদিকতা নিয়ে পর্যালোচনা করেন।
২০০৩ সালে আমেরিকার যেসব সাংবাদিক দেশটির সরকারকে প্ররোচিত করে ইরাকে আক্রমণে পাঠিয়েছে তাদেরকে নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, এটা ভাবার কারণ নেই যে শুধু বাংলাদেশে এমন হচ্ছে। তখন আমেরিকার অনেক সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশে অনেক সাংবাদিক সুশীল সাজেন। তারা গত ১৫ বছরে এই কাজগুলো করেছেন। সাংবাদিকতা কোথায়-কোথায় ব্যর্থ হয়েছে, এ বিষয়গুলো আমরা জানতে চাই। তার জন্য জাতিসংঘের কাছে চিঠি দেব তারা যেন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ এনে গত ১৫ বছরে আমাদের সাংবাদিকতা কী রকম হয়েছে তা নিয়ে রিভিউ করে।
বিগত বছরগুলোতে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো বিশেষ করে সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকদের সমস্যা নিয়ে নয়, সাংবাদিক নেতারা পূর্বাচলে প্লট নেওয়া নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দালালি ব্যস্ত ছিলেন।
তথ্য উপদেষ্টার বাকস্বাধীনতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, কেন তিনি তা করেছেন সেটা ওনাকে জিজ্ঞাসা করেন। ফেসবুক তার ব্যক্তিগত বিষয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সহ-সভাপতি গাজী আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।