নির্বাচন দিন, ভোগান্তি কমান: সিইসিকে লেখা চিঠিতে নাগরিকের আরজি
জনগণের দৈনন্দিন নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে

তাজা খবর: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন জুলাই আন্দোলনের সংগঠক ও এনসিপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মী পরিচয়দানকারী এক নাগরিক। বলেছেন, ‘নির্বাচন দিয়ে জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি কমান।’
মঙ্গলবার (২০ মে) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রাপ্তি ও জারি শাখায় চিঠিটি জমা দিয়েছেন হোসাইন মো. আনোয়ার নামের ওই নাগরিক।
সিইসিকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি হোসাইন মো. আনোয়ার, একজন সচেতন নাগরিক। জুলাই আন্দোলনের সাংগঠক ও এনসিপি ঢাকা মহানগর দক্ষিনের রাজনৈতিক কর্মী। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন না হওয়ায় প্রতিনিয়ত সিটি করপোরেশন তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে করে জনহয়রানি ও ভোগান্তি বাড়ছে।’
চিঠিতে ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে অন্তত দুই কোটি জনগণ বাস করেন। যদি নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকে তাহলে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর ভোগান্তির আর শেষ থাকে না। নির্বাচন না দিয়ে জনগণের দৈনন্দিন নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে এবং মারাত্মক জটিলতা তৈরি হচ্ছে, যা নগর গঠনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’
এজন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে শেখ ফজলে নূর তাপসের মেয়াদ শুরু হয় ২০২০ সালের ১৬ মে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর তিনি পালিয়ে যান। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটিতে আতিকুল ইসলামের মেয়াদ শুরু হয় ২০২০ সালের ১৬ মে। সরকার পতনের পর তিনি ঢাকাতে গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন, পরে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এরপর ১৯ আগস্ট দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বর্তমান সরকার। স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়রের কার্যকালের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে গত ১৫ মে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সরকার চাইলে সীমিত পরিসরে স্থানীয় নির্বাচন হতে পারে।